WAHED TEACHING HOUSE HADIS
পরিচ্ছেদঃ ৪/২. পবিত্রতা ব্যতীত সালাত কবূল হবে না।
৪/১. بَاب مَا جَاءَ فِي الْوُضُوءِ
৪/১. উযূর বর্ণনা।
وَقَوْلِ اللهِ تَعَالَى (إِذَا قُمْتُمْ إِلَى الصَّلاَةِ فَاغْسِلُوا وُجُوهَكُمْ وَأَيْدِيَكُمْ إِلَى الْمَرَافِقِ وَامْسَحُوا بِرُءُوسِكُمْ وَأَرْجُلَكُمْ إِلَى الْكَعْبَيْنِ)
قَالَ أَبُو عَبْد اللهِ وَبَيَّنَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَنَّ فَرْضَ الْوُضُوءِ مَرَّةً مَرَّةً وَتَوَضَّأَ أَيْضًا مَرَّتَيْنِ وَثَلاَثًا وَلَمْ يَزِدْ عَلَى ثَلاَثٍ وَكَرِهَ أَهْلُ الْعِلْمِ الْإِسْرَافَ فِيهِ وَأَنْ يُجَاوِزُوا فِعْلَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم.
আল্লাহ তা‘আলার বাণীঃ (ওহে যারা ঈমান এনেছ!) তোমরা যখন সালাতের জন্য দাঁড়াতে চাও তখন ধৌত করে নিবে নিজেদের মুখমন্ডল এবং হাত কনুই পর্যন্ত আর মাসেহ করে নিবে নিজেদের মস্তক এবং ধৌত করে নিবে নিজেদের পা গ্রন্থি পর্যন্ত। (সূরাহ্ আল-মায়িদাহ্ ৫/৬)
আবূ ‘আবদুল্লাহ্ বুখারী (রহ.) বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ উযূর ফরজ হ’ল এক-একবার করে ধোয়া। তিনি দু’-দু’বার করে এবং তিন-তিনবার করেও উযূ করেছেন, কিন্তু তিনবারের অধিক ধৌত করেন নি। পানির অপচয় করা এবং নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর ‘আমলের সীমা অতিক্রম করাকে ‘উলামায়ে কিরাম মাকরূহ বলেছেন।
১৩৫. আবূ হুরাইরাহ (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ‘যে ব্যক্তির হাদাস হয় তার সালাত কবূল হবে না, যতক্ষণ না সে উযূ করে। হাযরা-মাওতের জনৈক ব্যক্তি বলল, ‘হে আবূ হুরাইরাহ! হাদাস কী?’ হাদাস কী?’ তিনি বললেন, ‘নিঃশব্দে বা সশব্দে বায়ু বের হওয়া।’ (৬৯৫৪; মুসলিম ২/২, হাঃ ২২৫, আহমাদ ৮০৮৪) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১৩২, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১৩৭)
بَاب لاَ تُقْبَلُ صَلاَةٌ بِغَيْرِ طُهُورٍ.
إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الْحَنْظَلِيُّ قَالَ أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ قَالَ أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ عَنْ هَمَّامِ بْنِ مُنَبِّهٍ أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم لاَ تُقْبَلُ صَلاَةُ مَنْ أَحْدَثَ حَتَّى يَتَوَضَّأَ قَالَ رَجُلٌ مِنْ حَضْرَمَوْتَ مَا الْحَدَثُ يَا أَبَا هُرَيْرَةَ قَالَ فُسَاءٌ أَوْ ضُرَاطٌ.
পরিচ্ছেদঃ ৪/৩. উযূর ফযীলত এবং উযূর প্রভাবে যাদের উযূর অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ উজ্জ্বল হবে।
১৩৬. নু‘আয়ম মুজমির (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আবূ হুরাইরাহ (রাযি.)-এর সঙ্গে মসজিদের ছাদে উঠলাম। অতঃপর তিনি উযূ করে বললেনঃ ‘আমি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে বলতে শুনেছি, কিয়ামতের দিন আমার উম্মাতকে এমন অবস্থায় আহবান করা হবে যে, উযূর প্রভাবে তাদের হাত-পা ও মুখমন্ডল উজ্জ্বল থাকবে। তাই তোমাদের মধ্যে যে এ উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে নিতে পারে, সে যেন তা করে।’ (মুসলিম ২/১২, হাঃ ২৪৬, আহমাদ ৯২০৬) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১৩৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১৩৮)
প্রাসঙ্গিক আলোচনা
ওযূর মাকরূহ বিষয়সমূহ
ওযূর যেমনি ফরয রয়েছে, তেমনি তাতে রয়েছে কিছু সুন্নাত। কিন্তু অতিরিক্ত কাজ করাও কিন্তু মাকরূহ বা অপছন্দনীয় কাজ। ওযূর মধ্যে বেশ কিছু অপছন্দনীয় কাজ রয়েছে নিম্নে সেগুলো বর্ণনা করা হলো:
১. অপবিত্রতা ছিটে ওযূকারীর দিকে আসতে পারে এমন অপবিত্র স্থানে ওযূ করা।
২. ওযূতে তিনবারের অধিক অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ধৌত করা। কেননা রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিন তিনবার ধৌত করেছেন। তিনি বলেছেন, "অতঃপর যে ব্যক্তি এর অধিক করে সে অবশ্যই যুলুম ও অন্যায় করে।”
৩. পানি ব্যবহারে অপচয় করা। যেহেতু রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক মুদ পানি দিয়ে ওযূ করেছেন। আর মুদ হলো মাঝারি ধরনের পূর্ণ মানুষের এক মুঠো। তাছাড়া যেকোনো কিছুতে অপচয় করা নিষেধ।
৪. ওযূতে এক বা একাধিক সুন্নাত ছেড়ে দেয়া; কেননা সুন্নাত ছেড়ে দিলে সাওয়াব কমে যায়। তাই সুন্নতের ব্যাপারে যত্নবান হওয়া উচিৎ, ছেড়ে দেয়া অনুচিত।
ওযূর অঙ্গসমূহ বাড়িয়ে ধৌত করা
হাদীসের শেষের অংশটুকু আবু হুরায়রা রাদ্বিয়াল্লাহু 'আনহুর কথা। উপরোক্ত বর্ণনাগুলো থেকে বুঝা যায় যে, আবু হুরায়রা রাদ্বিয়াল্লাহু 'আনহু ওযূর অঙ্গসমূহ একটু বাড়িয়ে ধৌত করতেন। এটি ছিল তার ইজতিহাদ। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এমনটি করেছেন প্রমাণিত হয়নি। আর সেজন্য আলেমগণ এ বিষয়টি নিয়ে মতভেদ করেছেন। অধিকাংশ আলেম এভাবে চেহারা, দু' হাত ও দু পায়ের ওযূর জায়গা থেকে বাড়তি অংশ ধৌত করা মুস্তাহাব বলেছেন। কিন্তু ইমাম মালিক, ইমাম আহমাদ উপরোক্ত অঙ্গসমূহের ফরয অংশের অতিরিক্ত অংশ ইচ্ছাকৃত ধৌত করা মুস্তাহাব নয় বলেছেন। শাইখুল ইসলাম ইবন তাইমিয়্যাহ, ইবনুল কাইয়্যেম, ইবন সাদী রাহিমাহুমুল্লাহ এ মতটিকে প্রাধান্য দিয়েছেন।
بَاب فَضْلِ الْوُضُوءِ وَالْغُرُّ الْمُحَجَّلُونَ مِنْ آثَارِ الْوُضُوءِ.
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ بُكَيْرٍ، قَالَ حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ خَالِدٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي هِلاَلٍ، عَنْ نُعَيْمٍ الْمُجْمِرِ، قَالَ رَقِيتُ مَعَ أَبِي هُرَيْرَةَ عَلَى ظَهْرِ الْمَسْجِدِ، فَتَوَضَّأَ فَقَالَ إِنِّي سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " إِنَّ أُمَّتِي يُدْعَوْنَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ غُرًّا مُحَجَّلِينَ مِنْ آثَارِ الْوُضُوءِ، فَمَنِ اسْتَطَاعَ مِنْكُمْ أَنْ يُطِيلَ غُرَّتَهُ فَلْيَفْعَلْ
পরিচ্ছেদঃ ৪/৪. নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত সন্দেহের কারণে উযু করতে হয় না।
১৩৭. ‘আব্বাদ ইবনু তামীম (রহ.)-এর চাচা হতে বর্ণিত। একদা আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এক ব্যক্তি সম্পর্কে বলা হল যে, তার মনে হয়েছিল যেন সালাতের মধ্যে কিছু হয়ে গিয়েছিল। তিনি বললেনঃ সে যেন ফিরে না যায়, যতক্ষণ না শব্দ শোনে বা দুর্গন্ধ পায়। (১৭৭, ২০৫৬; মুসলিম ৩/২৬, হাঃ ৩৬১) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১৩৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১৩৯)
প্রাসঙ্গিক আলোচনা
হাদীসে অভিযোগকারী হচ্ছেন হাদীসের বর্ণনাকারী স্বয়ং আবদুল্লাহ ইবন যায়েদ ইবন আসেম আল-মাযেনী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু। আর এখানে 'ধারণা' হয় বলা হয়েছে। সুতরাং যদি বাতাস বের হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হয় তখন ওযূ ভঙ্গ হওয়ার জন্য শব্দ বা গন্ধের প্রয়োজন হবে না।
হাদীসের শিক্ষা
১. কোনো কিছুর যদি দু'টি অবস্থা হতে পারে যেমন হালাল ছিল তা দৃঢ়ভাবে নির্ধারিত কিন্তু পরবর্তীতে কোনো এক কারণে হারাম হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেয় তখন সেটাকে দৃঢ় অবস্থার ওপর রাখতে হবে। অর্থাৎ মূলনীতি হচ্ছে যা আগে ছিল তা-ই রাখা, যতক্ষণ না ভিন্নটি প্রমাণিত হচ্ছে।
২. শুধুমাত্র ওযূ ভঙ্গ হওয়ার বিষয়টি সন্দেহ হিসেবে আসলে তার কারণে সালাত থেকে বের হওয়া যাবে না।
৩. যখন কারো পিছনের রাস্তা দিয়ে বাতাস বের হবে তখন তা তার ওযূ নষ্ট করে দিবে, চাই বের হওয়ার বিষয়টি শব্দ শোনা কিংবা গন্ধ বা অন্য কিছুর মাধ্যমে সাব্যস্ত হবে।
৪. যেসব জিনিস বলতে লজ্জা লাগে সেগুলো না বলে পরিহার করাই উচিত।
৫. যার ওযূ আছে তিনি যদি ওযূ ভঙ্গ হওয়ার ব্যাপারে সন্দেহ করেন, তখন সে সন্দেহের কারণে তার ওযূ করা আবশ্যক নয়; যতক্ষণ না তার ওযূ ভঙ্গ হওয়ার বিষয়টি দৃঢ়ভাবে সাব্যস্ত হচ্ছে।
৬. হাদীসে শব্দ ও গন্ধের বিষয়টি দৃঢ় হওয়ার জন্য বলা হয়েছে। নতুবা যদি সত্যি সত্যিই তিনি অনুভব করেন যে, তার থেকে বায়ু বের হয়েছে তখন ওযূ ভঙ্গ হয়ে যাবে।
بَاب مَنْ لاَ يَتَوَضَّأُ مِنْ الشَّكِّ حَتَّى يَسْتَيْقِنَ.
حَدَّثَنَا عَلِيٌّ، قَالَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، قَالَ حَدَّثَنَا الزُّهْرِيُّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، وَعَنْ عَبَّادِ بْنِ تَمِيمٍ، عَنْ عَمِّهِ، أَنَّهُ شَكَا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الرَّجُلُ الَّذِي يُخَيَّلُ إِلَيْهِ أَنَّهُ يَجِدُ الشَّىْءَ فِي الصَّلاَةِ. فَقَالَ " لاَ يَنْفَتِلْ ـ أَوْ لاَ يَنْصَرِفْ ـ حَتَّى يَسْمَعَ صَوْتًا أَوْ يَجِدَ رِيحًا "
পরিচ্ছেদঃ ৪/৫. হালকাভাবে উযূ করা।
১৩৮. ইবনু ‘আব্বাস (রাযি.) হতে বর্ণিত যে, একদা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘুমিয়েছিলেন, এমনকি তাঁর নিঃশ্বাসের শব্দ হতে লাগল। অতঃপর তিনি সালাত আদায় করলেন। সুফ্ইয়ান (রহ.) আবার কখনো বলেছেন, তিনি শুয়ে পড়লেন, এমনকি নাক ডাকার আওয়ায হতে লাগল। অতঃপর দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করলেন। অন্য সূত্রে সুফইয়ান (রহ.) ইবনু ‘আব্বাস (রাযি.) হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেনঃ আমি এক রাতে আমার খালা মাইমূনাহ (রহ.)-এর নিকট রাত কাটালাম। রাতে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘুম থেকে উঠলেন এবং রাতের কিছু অংশ চলে যাবার পর আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একটি ঝুলন্ত মশক হতে হালকা ধরনের উযূ করলেন। রাবী ‘আমর (রহ.) বলেন যে, হালকাভাবে ধুলেন, পানি কম ব্যবহার করলেন এবং সালাতে দাঁড়িয়ে গেলেন। ইবনু ‘আব্বাস (রাযি.) বলেন, তখন তিনি যেভাবে উযূ করেছেন আমিও সেভাবে উযূ করলাম এবং এসে তাঁর বাঁয়ে দাঁড়িয়ে গেলাম। সুফইয়ান (রহ.) কখনো কখনো يسار (বাম) শব্দের স্থলে شمال বলতেন। তারপর আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে ধরে তাঁর ডান দিকে দাঁড় করালেন। অতঃপর আল্লাহর যতক্ষণ ইচ্ছা ততক্ষণ পর্যন্ত তিনি সালাত আদায় করলেন। অতঃপর কাত হলেন আর ঘুমিয়ে পড়লেন, এমনকি তাঁর নাক ডাকালেন। অতঃপর মুয়াযযিন এসে তাঁকে সালাতের কথা জানিয়ে দিলেন। তিনি তার সঙ্গে সালাতের জন্য চললেন এবং সালাত আদায় করলেন, কিন্তু উযূ করলেন না। আমরা ‘আমর (রহ.)-কে বললামঃ লোকে বলে যে, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর চোখ ঘুমায় কিন্তু তাঁর অন্তর ঘুমায় না। তখন ‘আমর (রহ.) বললেন, ‘আমি ‘উবায়দ ইবনু ‘উমায়র (রহ.)-কে বলতে শুনেছি, নবীগণের স্বপ্ন ওয়াহী। অতঃপর তিনি তিলাওয়াত করলেন। إِنِّي أَرَى فِي الْمَنَامِ أَنِّي أَذْبَحُكَ ‘‘আমি স্বপ্নে দেখেছি যে, তোমাকে কুরবানী করছি’’- (সূরাহ্ আস্ সাফ্ফাত ৩৭/১০২)। (১১৭ দ্রষ্টব্য) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১৩৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১৪০)
بَاب التَّخْفِيفِ فِي الْوُضُوءِ.
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَمْرٍو، قَالَ أَخْبَرَنِي كُرَيْبٌ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم نَامَ حَتَّى نَفَخَ ثُمَّ صَلَّى ـ وَرُبَّمَا قَالَ اضْطَجَعَ حَتَّى نَفَخَ ـ ثُمَّ قَامَ فَصَلَّى. ثُمَّ حَدَّثَنَا بِهِ سُفْيَانُ مَرَّةً بَعْدَ مَرَّةٍ عَنْ عَمْرٍو عَنْ كُرَيْبٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ بِتُّ عِنْدَ خَالَتِي مَيْمُونَةَ لَيْلَةً، فَقَامَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم مِنَ اللَّيْلِ، فَلَمَّا كَانَ فِي بَعْضِ اللَّيْلِ قَامَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم فَتَوَضَّأَ مِنْ شَنٍّ مُعَلَّقٍ وُضُوءًا خَفِيفًا ـ يُخَفِّفُهُ عَمْرٌو وَيُقَلِّلُهُ ـ وَقَامَ يُصَلِّي فَتَوَضَّأْتُ نَحْوًا مِمَّا تَوَضَّأَ، ثُمَّ جِئْتُ فَقُمْتُ عَنْ يَسَارِهِ ـ وَرُبَّمَا قَالَ سُفْيَانُ عَنْ شِمَالِهِ ـ فَحَوَّلَنِي فَجَعَلَنِي عَنْ يَمِينِهِ، ثُمَّ صَلَّى مَا شَاءَ اللَّهُ، ثُمَّ اضْطَجَعَ، فَنَامَ حَتَّى نَفَخَ، ثُمَّ أَتَاهُ الْمُنَادِي فَآذَنَهُ بِالصَّلاَةِ، فَقَامَ مَعَهُ إِلَى الصَّلاَةِ، فَصَلَّى وَلَمْ يَتَوَضَّأْ. قُلْنَا لِعَمْرٍو إِنَّ نَاسًا يَقُولُونَ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم تَنَامُ عَيْنُهُ وَلاَ يَنَامُ قَلْبُهُ. قَالَ عَمْرٌو سَمِعْتُ عُبَيْدَ بْنَ عُمَيْرٍ يَقُولُ رُؤْيَا الأَنْبِيَاءِ وَحْىٌ، ثُمَّ قَرَأَ (إِنِّي أَرَى فِي الْمَنَامِ أَنِّي أَذْبَحُكَ).
No comments