WAHED TEACHING HOUSE,
হাশরের বিচারে মানুষ তার জীবনের ভালো-মন্দ কর্মফলের চূড়ান্ত পরিণতি লাভ করবে। তাই দিনটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। হাশরের দিনটি হবে অত্যন্ত দীর্ঘ। পবিত্র কোরআনের বর্ণনায়, ‘সেই দিনের পরিমাণ তোমাদের গণনায় সহস্র বৎসর’ (সুরা-৩২ সাজদা, আয়াত: ৫)। ‘ওই দিনের পরিমাণ ৫০ হাজার বছর’ (সুরা-৭০ মাআরিজ, আয়াত: ৪)। সূর্য মাথার অর্ধহাত নিকটে থাকবে, নিচে তামার জমিন হবে। নেককার ইমানদারেরা আরশের ছায়ায় স্থান পাবেন। গুনাহগারেরা ঘামতে থাকবে। পাপের পরিমাণ হিসাবে কষ্টের ও ঘামের পরিমাণ হবে।
এই দিন সম্পর্কে হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, ‘কিয়ামতের দিন কোনো আদম সন্তান পাঁচটি প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে এক কদমও নড়তে পারবে না—জীবন সে কী কাজে ব্যয় করেছে, তারুণ্য ও যৌবনকালে কী করেছে, কোন পথে সম্পদ উপার্জন করেছে, আর কোন জায়গায় সম্পদ ব্যয় করেছে এবং সে তার জ্ঞান ও বিদ্যানুযায়ী কী আমল করেছে’ (তিরমিজি: ২৪১৬)।


No comments